রাবি উপাচার্যের ‘দুর্নীতি’: ইউজিসির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি

রাবির উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত কমিটির সুপারিশের দ্রুত বাস্তবায়ন দাবি করেছে অভিযোগকারী শিক্ষকরাসহ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2020, 10:15 AM
Updated : 24 Oct 2020, 10:15 AM

অপরদিকে আগামী রোববার বেলা ১১টায় সিনেট ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তার অবস্থান স্পষ্ট করতে চেয়েছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।

গত ৪ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত ৩০০ পৃষ্ঠার ১৭টি অভিযোগ সম্বলিত নথি প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুদক ও ইউজিসি বরাবর পাঠান।

এসব অভিযোগের মধ্যে ছিল, শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালার পরিবর্তন করে উপাচার্যের মেয়ে ও জামাইকে নিয়োগ, উপাচার্যের অবসরগ্রহণের পর পুনরায় দায়িত্ব পালন এবং রাষ্ট্রপতিকে অসত্য তথ্য প্রদান, উপাচার্যের বাড়িভাড়া নিয়ে দুর্নীতি, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াকে উপ-উপাচার্য নিয়োগ ও তার নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন নিয়োগে দুর্নীতিসহ অন্যান্য।

এ অভিযোগগুলো পেয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১৭ ও ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এক শুনানির আয়োজন করে। এতে বাদী পক্ষ হাজির হলেও উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান এই তদন্ত কমিটিকে এখতিয়ার বহির্ভূত দাবি করে যাননি। এছাড়া সহ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে যাননি।

এদিকে ওই অভিযোগের উপর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সরকারে কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলে খবর এসেছে।

ভিসি বিরোধীরা বলছেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি সুপারিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন চেয়েছে এই শিক্ষকরাসহ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন।

অভিযোগকারী ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু বলেন, “তদন্ত কমিটির সুপারিশ দ্রুত সময়ে কার্যকর করে শিক্ষাঙ্গনকে কলুষমুক্ত করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক শিক্ষা, গবেষণা ও সাংস্কৃতিক চর্চার উর্বর ভূমি। এমনটাই প্রত্যাশা।

“এই বিষয় বাস্তবায়ন হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও একটা মেসেজ (বার্তা) যাবে। যার বদৌলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসবে।”

অন্যদিকে, ২২ ও ২৩ অক্টোবর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক দল (সাদা দল) এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন গণমাধ্যমে পৃথক বিবৃতি দিয়ে ইউজিসি তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতি, অর্থের বিনিময়ে নিয়োগসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ পাওয়ায় অভিযুক্তরা পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা তারা হারিয়েছেন। তাদেরকে দ্রুত অপসারণ করার দাবি জানায় এ দুই সংগঠন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড আজিজুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, “ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর আসছে, সেই প্রেক্ষিতে উপাচার্য তার অবস্থান ক্লিয়ার করার জন্য আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলন করবেন।”