কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে

অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2020, 09:39 AM
Updated : 16 Sept 2020, 09:39 AM

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলা নদীর পানি বুধবার সকালে ব্রিজ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে অন্যান্য নদ-নদীগুলোর পানি এখনও বিপদসীমান নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে জেলায় নদনদীতে পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার সকালে ভাঙনের কবলে পরেছে নজরুল মাস্টার, আব্দুল মোতালেব, মনির হোসেন ও মনিরাম মুছির বাড়ি। এছাড়া ধরলার ভাঙনে সদর উপজেলার মোগলবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে।

আুরিফুল বলেন, “হঠাৎ করে ধরলা নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে পানিবন্দি হয়ে পরেছে ৫ হাজার পরিবারের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এছাড়া কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা নদীতে তীব্র ভাঙন চলছে উলিপুরের থেথরাই, চর বজরা ও গাইবান্ধা জেলার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল কাশিমবাজারে। এখানে যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়কের তিন মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়াও চারটি বাড়ি নদীগর্ভে গেছে; ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো ত্রিশটি বাড়ি।”

এদিকে ধরলা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী ১০০ হেক্টর আমন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, “হঠাৎ করে ধরলা নদীতে অস্বাভাবিক পানিবৃদ্ধি হয়েছে। পানিবৃদ্ধির ফলে আবার বন্যার কবলে পরেছে ধরলা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ও বিভিন্ন ফসলাদি। সংশ্লিস্ট বিভাগকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য বলা হয়েছে।”