রোববার সকালে শ্রীপুর উপজেলার বিলাইঘাটার লবলঙ্গ খালের তীর থেকে রাসেলের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. রাসেল রানা (২৫) স্থানীয় সিংদিঘি গ্রামের সুজন আলীর ছেলে এবং শিশু কানন নামের এক বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
শ্রীপুর থানার ওসি খন্দকার ইমাম হোসেন জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ব্যাপক মারধর করে শ্বাসরোধ করে এ যুবককে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত রাসেলের বাবা সুজন আলী জানান, কয়েকদিন আগে স্থানীয় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে ওই এ পেশা ছেড়ে ভালো পথে আসতে পরামর্শ দেয় তার ছেলে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ইমরানসহ কয়েক মাদক ব্যবসায়ী।
গত শনিবার দুপুরে রাসেল বাড়ি থেকে বাজারে যায়। সন্ধ্যায় খবর পান তার ছেলেকে ইমরান নামের এক যুবক বাজার থেকে ধরে নিয়ে মারধর করছে বলেন তিনি।
ছেলেকে ধরে নিয়ে মারধর করার খবর পেয়ে রাসেলের বাবা ইমরানের বাড়ি গিয়েও ছেলেকে পাননি। পরে ইমরানকে মোবাইলফোনে রাসেলকে ছেড়ে দিতে বারবার অনুরোধ করলে রাসেলকে ছেড়ে দেওয়ার কথাও জানায় বলে জানান নিহতের বাবা।
তিনি আরো জানান, দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয় মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মফিজুল ইসলাম ইমরানকে ধরে নিয়ে যান। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ ইমরানকে ধরে নেওয়ার পেছনে ইমরানের হাত রয়েছে সন্দেহে ছেলেকে হত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে রাসেলের বাবার ধারণা।
এ বিষয়ে মাওনা ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয় সলিং মোড় থেকে ইমরানকে ফাঁড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকের কোনো অভিযোগ না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওইদিনই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল হক জানান, ইমরান মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।