সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।
এই ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি গত বৃহস্পতিবার দাখিল করা প্রতিবেদনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এই এসআই শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সুপারিশ করেছে বলেও এসপি জায়েদুল জানান।
এসআই শামীম আল মামুন ওই ধর্ষণ ও হত্যার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন।
গত ৪ জুলাই ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী শহরের দেওভোগের মা-বাবার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি ও মামলা করে তার পরিবার। ওই মামলায় পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব ও নৌকার মাঝি খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৯ অগাস্ট তারা আদালতে জবানবন্দিতে তারা ‘অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার’ দায় স্বীকার করেন।
এই ঘটনার ৫১ দিন পর ২৩ অগাস্ট ওই কিশোরী জীবিত ফিরে আসে, যে ইকবাল নামের এক যুবককে বিয়ে বন্দর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে সংসার পাতে।
এই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীমের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও অস্বচ্ছতার প্রমাণ পেয়েছে।
“এ কারণে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
সদর মডেল থানার ওসি ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালতের শোকজের বিষয়ে তিনি বলেন, আদালত তাদেরকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তারা যথাসময়ে জবাব আদালতে দাখিল করবেন।