টাকার অঙ্কে এই ক্ষতির পরিমাণ ৪১৮ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৪০১ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, ২১ কিলোমিটার নদ-নদীর তীর রক্ষা বাঁধ, ছয়টি সেতু ও ১০টি কালভার্ট। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৮৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৭৪৪ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক, ১১৬ কিলোমিটার নদ-নদীর তীর রক্ষা বাঁধ, ৫৭টি সেতু ও ১৭১টি কালভার্ট।
সব কাঁচা-পাকা সড়ক, বাঁধ ও সেতু-কালভার্ট নতুন করে তৈরি, মেরামত ও সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বর্তমান হাল সম্পর্কে এলাকার অবস্থার কথা জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের গারুহারা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, “রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় খুব কষ্ট করে হেঁটে হেঁটে হাট-বাজারে যেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় কোনো কিছু বাজারে নিয়ে যেতে কষ্ট আবার আনতেও কষ্ট। মাথায় করে বহন করে আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে।”
এসব ক্ষতির তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে কুড়িগ্রামের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজ বলেন, এখন বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ করা হবে।