সুলতানা পারভীন (৩৭) মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। গত ১৬ অগাস্ট সন্ধ্যায় মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগ পরিবারকে জানিয়েছিল, সুলতানা আত্মহত্যা করেছেন। ৩০তম বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডারের এই চিকিৎসক মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার আলাউদ্দিন আজাদের মেয়ে।
আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতদের আসামিদের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে পরিবারে পক্ষ থেকে করা এ মামলা করেন ডা. সুলতানা পারভীনের ছোটবোন শাহনাজ পারভীনের স্বামী আসাদুল হাফিজ।
মেলান্দহ থানার ওসি রেজাউল করিম খান বলেন, “মোবাইল ফোনে সুলতানা পারভীনকে নানা কথা বলত, এসএমএস দিত। তাদের প্ররোচনায় আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে মামলায় উল্লেখ করেছে বাদী আসাদুল হাফিজ।”
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এ মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, তদন্তে জড়িতরা বেরিয়ে আসলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিহতের ছোট বোন মেরিনা পারভীন দাবি করেন, গাইনি বিশেষজ্ঞ সুলতানা আত্মহত্যা করেননি।
“তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার বোনের মৃত্যু নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তারা সত্যিটা জানতে চান।”
সেই সময় পোস্টমর্টেমের সঠিক রিপোর্ট পাবেন কিনা তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করে তার পরিবার।
সুলতানার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আজাদের সন্দেহ, পেশাগত দ্বন্দ্ব বা তার সাবেক স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যা করতে পারে।
তিনি বলেন, তার মেয়ে ছিলেন ‘গরিবের ডাক্তার।’
“তার দক্ষতা ও সেবায় মেলান্দহে সুনাম অর্জন করায় স্থানীয় ডাক্তাররাও হুমকি দিত-সে যেন প্রাইভেট প্র্যাকটিস না করে।”
এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত চিত্র উদঘাটন করে সুবিচার দাবি করেন তিনি।