শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের বড়কালিপুড়া গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
তেতুলতলা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মিরাজের সাথে বড়কালিপুরা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে আছিয়া আক্তারের বিয়ে উপলক্ষে বালুয়াকান্দির তেতুতলা ঘাট থেকে বরযাত্রীবাহী নিয়ে লঞ্চটি বড়কালিপুরা গ্রামে যাচ্ছিল।
গজারিয়া নৌ পুলিশ ইনচার্জ হান্নান মিয়া জানান, চাঁদপুর নিম্নাঞ্চল থেকে এসে সুযোগ বুঝে একটি চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর মিরাজ বলেন, আমাদের লঞ্চটি চর কালিপুরায় পৌঁছালে ঠিক তখনই স্পিডবোটে ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দল এসে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের লঞ্চটির ওপর হামলা চালায়। তখন তারা স্পিডবোট থেকে লঞ্চের ভিতর ঢুকে পড়ে।
এ হামলা থেকে লঞ্চে থাকা মহিলা, শিশু, বৃদ্ধা কাউকে বাদ যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে এলোপাতারি চড়-থাপ্পর লাথি এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে নগদ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
লঞ্চে থাকা ভুক্তভোগী রোজিনা আক্তার বলেন, ৬০ থেকে ৭০ জন নারী পুরুষ ছিল লঞ্চে। ডাকাত দলের সবারই হাতে পিস্তল, রামদা অস্ত্র ছিল।
“আমার সাথে থাকা ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কাসহ লঞ্চের সবারই মোবাইল এবং নগদ টাকা নিয়েছে।”
অপর যাত্রী পান্না মিয়া জানান, বড়কালিপুরা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে প্রত্যেক ডাকাতের হাতে রামদা, রাইফেল ও পিস্তল ছিল।
“লঞ্চের চালাককে আটক করে দুই ডাকাত। বাকিরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গালি দিয়ে প্রায় ২২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৩০ থেকে ৩৫টি মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।”
মতলব নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের বলেন, ঘটনার পর অবগত হয়ে পরিদর্শনে এসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডাকাতি শেষে ডাকাত দল নদী পথে চলে যায়।