জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা তার কার্যালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় ছালেমার সেই মেয়ে ও জামাতা হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১ অগাস্ট জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের হিরণ মিয়ার স্ত্রী ছালেমা বেগম খুন হন।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ হিরণের ছোট মেয়ে শান্তি ও হিরণের বড় মেয়ের স্বামী মোগল মিয়াসহ চারজনকে আটক করে।
পুলিশ সুপার জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে বলেন, মোগলের স্ত্রী সৌদি আরব থাকেন। মোগল তার শিশুছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থাকেন। এ সুযোগে মোগল তার শ্যালিকা শান্তির সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। ছালেমা তাদের নিষেধ করলেও তারা সম্পর্ক চালিয়ে যান। ১ অগাস্ট রাতে তাদের মেলামেশা করতে দেখে ছালেমা চিৎকার করেন। এর জেরে মোগল ও শান্তি দুইজন মিলে ছলেমার মুখ চেপে ধরে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, মৃত্যু নিশ্চিত করে মোগল ঘরে গিয়ে কাপড় বদলে ঘুমিয়ে পড়েন। আর শান্তি ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করেন।
এ ঘটনায় হিরণ মিয়া থানায় মামলা করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।