গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কচুয়া উপজেলার বড় হায়াতপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন (১৯) ও মনির হোসেনের ছেলে নুর আলম (২৫)।
মঙ্গলবার দুপুরে কচুয়ায় থানার ওসি ওয়ালী উল্লাহ অলি এক প্রেস ব্রিফিং এ বিষয়টি নিশ্চিত জানান।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তারকৃদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হবে।
তবে ওসি জানান, গ্রেপ্তার সজীব ও নুর আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মিশু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে ওইসব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
চাঁদপুরের কচুয়ায় ধর্ষণ ও খুনের শিকার হয় এমএ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নবম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল নাঈম মিশু। তিনি বড় হায়াতপুর গ্রামের আরব প্রবাসী হানিফের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, গত ৩১ জুলাই দুপুরে মিশু তার ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে বাড়ির পাশে যায়। বাড়ি না ফেরায় কয়েক ঘণ্টা পর তাকে খোঁজা শুরু হয়। পরদিন শনিবার এ নিয়ে কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। রোববার দুপুরে বড় হায়াতপুর গ্রামে পাশে জলাশয়ে মিশুর লাশ ভাসমান দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী।
৩ অগাস্ট মিশুর মা শেফালী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এদিকে, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কচুয়া শাখার উদ্যোগে মিশু হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কচুয়া সরকারি বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া একই দিনে চাঁদপুর এমএ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেন।