কচুয়া থানার ওসি মো. ওয়ালী উল্লাহ অলি জানান, উপজেলার বড় হায়াতপুর গ্রামের একটি খাল থেকে রোববার কামরুননাহার মিশু নামে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই স্কুল ছাত্রীর লাশ তারা উদ্ধার করেন।
মিশু (১৪) কচুয়া উপজেলার বড় হায়াতপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আবু হানিফের মেয়ে এবং সাদিপুরা-চাঁদপুর এম.এ খালেক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ওসি বলেন, শুক্রবার বাড়ির পাশের বিলে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মিশু। পরে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়ে ওই বিলের সামনে মিশুর সঙ্গে থাকা কাঁচি এবং ওড়না পড়ে থাকতে দেখেন।
“এ ঘটনায় মিশুর মামা ইকবাল হোসেন শনিবার কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। রোববার দুপুরে খালে মিশুর লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।”
এদিকে মিশুর মা শেফালী বেগমের অভিযোগ, তার মেয়েকে কেউ ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দিয়েছে।
ওসি জানান, মিশুর লাশ উদ্ধারের পর রাতে তার মামা থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে এতে কাউকে আসামি করা হয়নি।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।।প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রণ করা হবে।