আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় রোববার রাতে এই অভিযান চালানো হয় বলে র্যাব-৪ এর কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন জানান।
আটকরা হলেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মমিনুর রহমান, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ছোনকা গ্রামের বাসিন্দা মাইক্রোবাস চালক আবদুল হামিদ, গাইবান্ধা সদরের চৌদ্দগাছা গ্রামের ওয়াহেদ ও জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরগুহিন্দি গ্রামের ওয়াজেদ শেখ। এদের মধ্যে মমিনুর রহমান আশুলিয়া থানায় পুলিশ কনস্টেবল।
স্থানীয় নুর উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, গত বুধবার রাতে জামগড়ায় নুর মেডিকেল হল নামে ওষুধের দোকানে বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ রয়েছে দাবি করে পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন টাকা দাবি করেন। রোববার রাতে তাদের দাবি করা টাকা নিতে আসার কথা। তখন বিষয়টি তিনি আশুলিয়ার নবীনগরে র্যাব-৪ ক্যাম্পে জানান। পরে র্যাব ওই স্থানে সময় মতো উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে।
র্যাব-৪ এর কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন বলেন, “আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করি। এর মধ্যে আশুলিয়া থানার একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছে।
“তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্র, ওয়াকিটকি, জাল টাকা, ইয়াবা, গাঁজা, বিভিন্ন মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংকের ১৬টি এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়।”
তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতি বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।