ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর উদ্ধার হয়নি, সীমিত ফেরি চলাচল শুরু

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে আটকে পড়া ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2020, 12:36 PM
Updated : 1 July 2020, 01:03 PM

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, এই নৌ-রুটে বুধবার সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এখন পাঁচটি ফেরি পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।

ফেরি ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’ স্রোতের টানে বিকল্প চ্যানেলের মুখে আটকে গেলে মঙ্গলবার রাত ৯টায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্যান্য নৌযান চলাচল অব্যাহত আছে। 

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ম্যনেজার প্রফুল্ল চৌহান বলেন, মঙ্গলবার কাঁঠালবাড়ি থেকে শিমুলিয়া আসার পথে রাত ৮টায় বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ফেরিটি তীব্র স্রোতে এই নৌ-রুটের বিকল্প চ্যানেলের মুখ থেকে ২০০ ফুট ভাটিতে চরে আটকে যায়। পরে রাত ৯টা থেকে পুরো ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়।

“বুধবার সকাল থেকে দুপারেই যানজট বাড়তে থাকায় বিশেষ বিবেচনায় দুপুর ১২টার দিকে লাশবাহী গাড়িসহ ১১টি যান নিয়ে একটি ফেরি ছেড়ে যায়। পরে অ্যাম্বুলন্সসহ জরুরি যান নিয়ে আরও দুইটি ফেরি ছাড়া হয়।”

এরপর আরও দুইটি ফেরি চলাচল শুরু করা হয় বলে তিনি জানান।

বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার শাজাহান মিয়া জানান, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করতে রাতেই রওয়ানা হয় ‘আইটি-৯৫’ ও ‘আইটি-৯৬’ নামের দুইটি উদ্ধারকারী জাহাজ।

“বুধবার সকাল ৮টার দিকে ‘আইটি-৯৬’ তীব্র স্রোতের কারণে চরে আটকে যায়। পরে দুপুর ১টার দিকে 'অগ্রযাত্রা' নামের আরেকটি জাহাজ উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।”

তবে পানি কম থাকায় উদ্ধারকারী জাহাজ অগ্রযাত্রা ফেরির কাছে যেতে পারছে বলে জানান শাজাহান।

শাজাহান মিয়া আরও জানান, ইতিমধ্যে আইটি-৯৫ ফেরি জাহাঙ্গীর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে শিমুলিয়ায় নিয়ে এসেছে। এখন ওই ফেরিতে ছোটো-বড়ো ২৯টি যান রয়েছে।  

বিআইডব্লিউটিসির কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর উদ্ধারের জন্য উচ্চ ক্ষমতার টাগ জাহাজ প্রয়োজন। সদরঘাটে মর্নিংবার্ড লঞ্চ উদ্ধারের কাজে যাওয়ায় টাগ জাহাজ নেই। সেখানকার পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে বিআইডব্লিউটিসির উপ-পরিচালক জসীম উদ্দিন বলেন, “ফেরিটি আটকা পড়েছে চ্যানেলের ২০০ ফুট দূরে। এটি ফেরি বন্ধ হওয়ার মতো কিছু নয়। তবে অস্বাভাবিক স্রোতের কারণে সমস্যা হচ্ছে।”

মাওয়া ট্রাফিক জোনের টিআই মো. হিলাল জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় নৌ-রুটের উভয় পাড়ে ভয়াবহ যানযট সৃষ্টি হয়েছে। সহস্রাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।”

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবীর বলেন, “নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় সিবোট ও লঞ্চ চলাচলেও মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। স্রোতের প্রতিকূলে এসব নৌযান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।”