বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন ম্যানেজার আহমেদ আলী বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো স্বাভাবিক চলচল করতে পারছে না। ৩টি রো রো, ৩টি কে-টাইপ ও ১টি মিডিয়ারসহ মোট ৭টি ফেরি দিয়ে মঙ্গলবার নৌরুট সচল রাখা হয়েছিল।
“পরে রাত ৯টা ফেরি ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’ স্রোতের টানে বিকল্প চ্যানেলের মুখে আটকে গেলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।”
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে কয়েকদিন ধরে ফেরি চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। লঞ্চ ও সিবোটসহ অন্যান্য নৌযান চলাচলেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।ফেরি সীমিত আকারে চলাচলের কারণে ঘাটে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে; ফলে পারাপারের সব ধরনের যানবাহনগুলোকে জন্য অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ।
বিআইডব্লিউটিসির বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আটকে পড়া ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’ ফেরিটি উদ্ধারে দুইটি উদ্ধারকারী জাহাজ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফেরিটি উদ্ধার করা গেলেও, স্রোত না কমা পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস সচল করা সম্ভব হবে না।”
এ বিষয়ে মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. সিরাজুল কবীর বলেন, নদীতে স্রোত বেশি থাকায় সিবোট ও লঞ্চ চলাচলেরও বিঘ্ন হচ্ছে। স্রোতের প্রতিকূলে এসব নৌযান চলছে ঝুঁকি নিয়ে।
এদিকে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে ঘাটে যানজট দেখা দিয়েছে এবং সহস্রাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে মাওয়া ট্রাফিক জোনের টিআই মো. হিলাল জানান।
এ বিষয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ম্যানেজার আবদুল আলীম মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে বিকল্প ড্রেজিং চ্যানেলে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ডুবোচরে আটকে যায়। এরপর রাত থেকেই এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
“এতে পদ্মার দুই পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৩ শতাধিক যানবাহন। ডুবোচরে আটকে পড়া ফেরিটি উদ্ধারের জন্য দুইটি উদ্ধারকারী জাহাজ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।”
আটকে পড়া ফেরিতে ৫টি যাত্রীবাহী বাস, ৩টি ট্রাক ও ২১টি হালকা পরিবহন এবং প্রায় ২৫টি মোটর সাইকেল রয়েছে বলে জানান তিনি।