জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাউদ্দিন জানান, মঙ্গলবার সকাল পোনে ৯টার দিকে দীঘিনালা উপজেলার মধ্যবানছড়া প্রেসবাজার এলাকায় হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ইউপিডিএফের দীঘিনালা শাখার সদস্য এনজেল চাকমা ওরফে বাবু (৩৭) ও সুদিব্য চাকমা ওরফে বাঙাল্লা (৩৫)।
বাবু দীঘিনালা ইউনিয়নের নন্দশ্বর কার্বারিপাড়ার সুশীল চাকমার ছেলে। আর সুদিব্য চাকমা মধ্যবানছড়ার বীরেন্দ্র মোহন চাকমার ছেলে। সুদিব্য ট্রলি চালাতেন।
সুদিব্যর বাবা বীরেন্দ্র চাকমা বলেন, “হামলাকারীরা এসে প্রথমে ফাঁকা গুলি করে। পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ব্রাশফায়ারে মারা যায়।”
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সেনাসদস্যদের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই লাশ উদ্ধার করে বলে জানিয়েছেন দীঘিনালা থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব। তবে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, “বিবদমান প্রতিপক্ষের হামলার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের সদস্য বলেও জানা গেছে।”
এ বিষয়ে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের জেলা সংগঠক অঙ্গ্য মারমা এ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) গ্রুপকে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, “গুলিতে আমাদের এক সদস্য ছাড়াও একজন ট্রলিচালক মারা গেছেন। আমি এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপের নেতারা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।