মঙ্গলবার দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলার ১০ টাকা কেজি দরের এ চাল আত্মসাতের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলা আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত ৯টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী ফরিদপুর ইউনিয়নে ডিলারের গুদাম থেকে এসব চাল উদ্ধার করেন। এরপর চালের ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফরিদপুর ইউনিয়নের ডিলার নাসির উদ্দিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কমিটির সদস্য এবং আলালপুর গ্রামের ইজাফর আলীর ছেলে। তার বড় ভাই আবু তাহের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কুলিয়ারচর থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার জানান, এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহানা সুলতানা বাদী হয়ে কালোবাজারির অভিযোগে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (১) ধারায় কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা করেন।
“গুদামে থাকা বাকি ৫৭ বস্তা চাল বিতরণ না করায় অনেক কার্ডধারী দরিদ্র মানুষ চাল পাননি। তারা ডিলারকে খুঁজে না পেয়ে বিষয়টি গোপনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমবার রাতে তার গুদাম গিয়ে ওই চাল উদ্ধারসহ তাকে গ্রেপ্তার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী জানান, গোপনে অভিযোগ পেয়ে গুদাম থেকে চাল উদ্ধারসহ ডিলারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক মাস আগে চাল গুদাম থেকে তুলে তিনি আংশিক বিতরণ করে ৫৭ বস্তা চাল বিতরণ করেননি।