রোববার সকালে হোগলা ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান।
মাহমুদা আক্তার বলেন, দুইদিন ধরে জ্বর, পাতলা পায়খানা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন এ্ নারী। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে রোগী ও তার সংস্পর্শে আসা লোকজনদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আবুল হাশিম বলেন, শনিবার ওই নারীর শরী ১০৪ ডিগ্রি জ্বরসহ শাসকষ্ট, পাতলা পায়খানা, উচ্চ রক্তচাপ ও বমির সঙ্গে রক্ত ছিল। তিনিই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।
হোগলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকন বলেন, ওই নারীর বাড়িতে বিদেশ ফেরত কেউ নেই; ঢাকা থেকেও কেউ আসেননি। মারা যাওয়া নারীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে উপসর্গগুলো করোনার লক্ষণ মনে হওয়ায় উপজেলা ও স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান তিনি।
পূর্বধলা থানার ওসি তাওহীদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। মৃত নারীর আশপাশের ১০টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুয়ায়ী বেলা দেড়টার দিকে ওই নারীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলেও তিনি জানান।