গাজীপুর জেলা কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার নেছার আহমেদ জানান, টঙ্গী (পূর্ব) থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তিকে কারাগারের ভেতরে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
“সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে তিনি দেশে ফিরে গ্রেপ্তার হলে আদালতের নির্দেশে তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।”
নেছার আহমেদ আরও জানান, এই কারাগারেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
“বাইরে থেকে কারাগারের ঢোকার সময় আসামিকে সাবান দিয়ে হাত-ধোয়ানো হয়, তাপমাত্রা মাপা হয়। কোয়ারেন্টিনের শর্তমতে নতুন বন্দিকে ১৪ দিন আলাদা রাখা হবে। আসামিদের সঙ্গে সাক্ষাতে আসাদেরও একইভাবে কারাফটকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”
গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, গাজীপুরে এ পর্যন্ত ৫৭৯ জন প্রবাসী হোম কোয়রেন্টিনে এবং ৪৭ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
কাশিমপুর কারাগারে অ্যাজমারোগী কয়েদির মৃত্যু
এদিকে, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক বৃদ্ধ কয়েদীর মৃত্যু হয়েছে, যার অ্যাজমা ছিল বলে কারাকর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার বাহারুল আলম জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায়।
বাহারুল আলম বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই বৃদ্ধ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে ও পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমা রোগে ভুগছিলেন জানিয়ে বাহারুল বলেন, টঙ্গী থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই ব্যক্তি ২০০৪ সালের ১৬ মে থেকে এ কারাগারে ছিলেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, মৃত অবস্থায় এই বৃদ্ধকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল্। তিনি অ্যাজমা রোগে ভুগছিলেন।