ডাকাতির অভিযোগে মহিলা শ্রমিক লীগের সাবেক নেত্রী গ্রেপ্তার

ডাকাতিতে জড়িতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন খুলনায় মহানগর মহিলা শ্রমিক লীগের সাবেক নেত্রী সাদিয়া আক্তার মুক্তা।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2020, 04:34 PM
Updated : 11 March 2020, 04:37 PM

বুধবার পুলিশের খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার সাদিয়া আক্তার মুক্তা খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা গুহা রেস্টুরেন্টের মালিক শুকুর আলীর স্ত্রী এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাস করেন।

মুক্তার বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ বলেন, মুক্তা মহানগর মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি ওই পদে নেই।

গত ২৪ জানুয়ারি বিকালে নগরীর বাবু খান রোডের ব্যবসায়ী কাজী মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ সময় ৫০ ভরি সোনা, নগদ ২৯ লাখ ২৫ হাজার ৫৫০ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা।

এ ঘটনায় মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন।

এ মামলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ১২ ভরি তিন আনা সোনা এবং দুই লাখ ৮২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান শেখ মনিরুজ্জামান।

খুলনা সদর থানার ওসি আসলাম বাহার বুলবুল জানান, এর আগে ঢাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার নামে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করতে গিয়ে একবার ধরা পড়েছিলেন মুক্তা ও তার স্বামী। তাদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় ঢাকার খিলগাঁও থানায় মামলা রয়েছে।

“প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুক্তাকে সোমবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করার পর  হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তা ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।”

ডাকাত দলের অন্য সহযোগীদের তথ্য নিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপর সংগঠন যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন। ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে নারীদের দিয়ে ‘যৌন বাণিজ্যসহ’ নানা অপকর্মের অভিযোগে গ্রেপ্তার রয়েছেন এক সময়ের নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া ওরফে পিউ। ‘যৌন বাণিজ্যসহ’ মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, জমি দখলের অভিযোগ আসতে শুরু করলে পাপিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।