বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রতনের খামার এলাকার একটি নির্জন মাঠে বালু মাটিতে চাপা দেওয়া অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান জানিয়েছেন।
নিহত মোকসেদুল মমিন (১৭) উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের গোলাম বাজার উত্তর পাড়ার শাহাবুদ্দিন চৌকিদারের ছেলে ও চুনকুটিয়ার চানমিয়া ওহাবুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র।
গ্রেপ্তার ফাহিম ওরফে মূসা (২০) সিএমপি চট্টগ্রামের কোতয়ালী উপজেলার চাকতাই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
নিহতের মা মমতাজ বেগম বলেন, সোমবার মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে ছেলে নিখোঁজ হলে আমার স্বামী পরদিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
“পরে আমরা ছেলের মোবাইলে ফোন করলে অপরিচিত একজন ফোন ধরে বলে আপনার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে জীবিত ফেরত পেতে চাইলে দুই কোটি টাকা লাগবে। একথা শুনে আমরা বলেছি-আমার ছেলের কোন ক্ষতি কর না, আমরা টাকা দেবো। প্রথম ধাপে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকাও পাঠিয়েছি কিন্তু তারপরও ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলল।”
আটক ফাহিমের বরাত দিয়ে র্যাব ১০ কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পে উপ-সহকারী পরিচালক বদিউল আলম বলেন, মমিনের বাবা বিষয়টি র্যাবকে লিখিতভাবে জানালে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহরণকারী ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ফাহিমকে পুরান ঢাকার নবাবপুর রোড হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
“পরে আসামি ফাহিমের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মমিনের মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা একটি চাকু, মমিনের ব্যবহৃত সিম ও বিকাশের মাধ্যমে নেওয়া পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।”
ওসি শাহ জামান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে।