দৌলতদিয়ার আরেক যৌনকর্মীর জানাজা

মাসের শুরুতে সামাজিক অচলায়তন ভেঙে যৌনকর্মীর জানাজা পড়ানো শুরুর পর ধর্মীয় রীতিতে আরেকজনের দাফন হয়েছে।

রাজবাড়ী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2020, 03:09 PM
Updated : 22 Feb 2020, 03:09 PM

শনিবার জানাজা শেষে যৌনকর্মী নিলুফা নাসরিনকে (৫০) গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

তবে প্রথম যৌনকর্মীর জানাজা পড়ানোর পর দৌলতদিয়া রেল মসজিদের ইমাম গোলাম মোস্তফা আর এমন মানুষের জানাজা পড়াবেন না বলায় এবার জানাজা পড়িয়েছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা মসজিদের ইমাম আবু বক্কর সিদ্দিক।

এর আগে যৌনকর্মী হামিদা (৬০) ও রিনা (৬০) মারা গেলে ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী তাদের জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

আগে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর যৌনকর্মীরা মারা গেলে লাশ গোপনে মাটিতে পুঁতে দেওয়া কিংবা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হতো।  

ফাইল ছবি

গোয়ালন্দ থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরীফ উজ জামান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল ফকীরসহ এলাকাবাসীরা।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রিনাকে কবর দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার ও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি যৌনকর্মীর মৃত্যুতে প্রথম জানাজায় ইমামতি করেন দৌলতদিয়া রেল মসজিদের ইমাম মৌলভী গোলাম মোস্তফা কিন্তু পরে তিনি জানাজা পড়াতে অপরগতা জানান।

রিনা ও নাসরিনের জানাজা পড়িয়েছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা মসজিদের ইমাম আবু বক্কর সিদ্দিক।

জানাজা পড়াতে ইমামরা অনাগ্রহ দেখাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ওসি আশিকুর রহমান বলেন, “এ ব্যাপারে জেলা ইমাম সমিতি পুলিশ সুপার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়ে অনুরোধ করেছে- আমরা যেন জোর করে কোনো ইমামকে বাধ্য না করি।”

প্রচলিত প্রথা ভেঙে প্রথমবারের মত যৌনকর্মীদের জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান এলাকার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।