রংপুর মেডিকেলে চীনা নারী ভর্তি

জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চীন থেকে ফেরা এক চীনা নারীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যিনি নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেডে কর্মরত রয়েছেন।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2020, 12:40 PM
Updated : 16 Feb 2020, 12:40 PM

রোববার দুপুরে ২৯ বছর বয়সী এই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রোস্তম আলী জানান।

ডা. রোস্তম আলী বলেন, “তাকে দ্রুত হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের করোনা ইউনিটে ভর্তি করেছে। তবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।”

এ নিয়ে চীন ফেরত চারজনকে রংপুর মেডিকেলে আনা হলো, যাদের তিনজন বাংলাদেশি এবং একজন চীনা।

রোস্তম আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই চীনা নাগরিক গত ৪ ফেব্রুয়ারি চীন থেকে বাংলাদেশের আসেন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শারীরিক পরীক্ষা শেষে ছেড়ে দেওয়া হলে তিনি নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডে এসে কাজে যোগদান করেন।

“শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখাসহ বিষয়টি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) জানানো হয়েছে।”

এই নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে চারজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।  

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নীলফামারীর এক যুবককে এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চীন থেকে ফিরেছেন বলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে তাকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে।

এর একদিন পর (৯ ফেব্রুয়ারি) চীন থেকে আসেন লালমনিরহাটের এক ছাত্র। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবালা ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে চীন থেকে দেশে আসেন।  

শ্বাসকষ্ট ও বমি হওয়ায় তাকে রাত সাড়ে ১০টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই বলে পরে আইইডিসিআর জানিয়েছে।

তিনদিন পর গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এক যুবককে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রংপুর মেডিকেলের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই তিনজনের মধ্যে একজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। বাকি দুইজনকে এখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।