‘মাদক কারবারির কাছে ঘুষ নেওয়ায়’ জয়পুরহাটে পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

জয়পুরহাটে ঘুষ নিয়ে মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2020, 12:25 PM
Updated : 8 Feb 2020, 03:02 PM

শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং বেতার পুলিশ কন্সটেবলের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাট পুলিশ সুপার সালাম কবীর।

এরআগে বিকালে তাদের তিনজনকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

তারা হলেন, পাঁচবিবি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান, সহ-উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রবিউল আওয়াল ও থানার বেতার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কন্সটেবল মুক্তার হোসেন।

পুলিশ সুপার সালাম কবীর বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া অন্য জেলায় গিয়ে মাদক কারবারীকে আটক ও আটকের পর ঘুষ নিয়ে মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়ার মত গুরুতর অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা বলে তিনি বলেন, তবে বেতার পুলিশ কন্সটেবল সরাসরি জয়পুরহাট পুলিশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় তার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা পুলিশের টেলিকম বিভাগ অবগত করা হয়েছে।

ঘটনা বিবরণ দেন পাঁচবিবি থানার ওসি মনসুর রহমান জানান, অভিযুক্ত ওই তিন পুলিশ সদস্য গত বৃহস্পতিবার বিকালে আমজাদ হোসেন নামে এক মাদক কারবারিকে এক হাজারটি ইয়াবা বড়িসহ আটক করেন।

আটককৃত আমজাদ দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার রায়বাগ গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে।

“আমজাদকে দুই লাখ টাকার বিনিমিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন ওই জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার হাঁসের পাড়া গ্রামের মাফিদুল ইসলাম ও শাকিল হোসেন নামে দুই দালাল।

“তবে দাবীকৃত আড়াই লাখ টাকার মধ্যে অবশিষ্ট পঞ্চাশ টাকার জন্য দালালরা আমজাদকে চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে আমজাদ স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। এরপর খবরটি অভিযোগ হিসেবে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার সালাম কবীরকে জানানো হয়।“

পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্ত দল ওই তিন পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় শনিবার বিকালে তাদের প্রত্যাহার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।