অনলাইনে ভ্রমণ কর পরিশোধ চালু, তবু ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্থলবন্দরের যাত্রী

স্থলপথে বিদেশ যেতে ‘ভ্রমণ কর’ অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হলেও, যাত্রীরা আগের মতই বন্দরের বুথে টাকা জমা দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2020, 07:56 AM
Updated : 6 Feb 2020, 08:22 AM

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে দেখা যায়, ভ্রমণ কর দেওয়ার জন্য প্যাসেঞ্জার টার্মিনালর সোনালী ব্যাংকের বুথে যাত্রীদের লম্বা লাইন। 

গত ২৫ জানুয়ারি ট্রাভেল ট্যাক্স অনলাইরে পরিশোধের সুবিধা চালুর ঘোষণা দেয় এনবিআর। এরপর তা চালু করেছে সোনালী ব্যাংক। তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই দেওয়া যায় এ কর।

কর পরিশোধে যাত্রীদের লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি খোরশেদ আলম জানান, সুবিধার কথা প্রচার না হওয়ায়, ভারত ভ্রমণে ইচ্ছুক যাত্রীরা এখনও সোনালী ব্যাংকের চেকপোস্ট বুথে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ কর পরিশোধ করছে।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। ভারতগামী প্রত্যেক যাত্রীকে পাঁচশ টাকা করে ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে হয়।

ওসি খোরশেদ বলেন, “সোনালী ব্যাংকের দেশের যেকোন শাখায় এ টাকা জমা দেওয়া যায়, তবে ৯০ ভাগ যাত্রী চেকপোস্ট বুথে জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করে থাকেন। আর এ কারণেই  ঘণ্টার পর ঘণ্টা  সময় অপচয় ও হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে।” 

গত ২৫ জানুয়ারি ২০২০ অনলাইন ট্রাভেল ট্যাক্স সুবিধা চালুর ঘোষণা দেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, “এখন থেকে ভারত গমনেচ্ছুক প্রত্যেক যাত্রী ভ্রমণ করের পাঁচশ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করতে পারেন। আমরা বিষয়টি প্রচার করছি, এটি খুব শীঘ্রই সবাই জানতে পারবেন।”

অনলাইনে ভ্রমণ কর পরিশোধের এ নিয়মকে সাধুবাদ জানিয়ে ভারতগামী যাত্রী ঢাকার নবমিতা সরকার বলেন, “চেকপোস্টে এসে ভ্রমণ কর পরিশোধ করে রসিদ সংগ্রহ করতে সব সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনলাইনে পরিশোধের নিয়ম চালু হওয়ায় আগে থেকেই ভ্রমণ করের রশিদ সংগ্রহ করা যাবে।

“এতে চেকপোস্টে এসে সময় অপচয়, ঠেলাঠেলি ও হুড়োহুড়ির হাত থেকে অন্তত বাঁচা যাবে।” 

ঢাকা থেকে আসা যাত্রী পার্থ সরকার বলেন, “আগে জানতাম না তাই এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ কর দিলাম।  এরপর থেকে অনলাইনে কেটে নিয়ে আসব-অন্তত ঝামেলা থাকবে না।”