জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর তারা নিহত শাওনের বড় ভাই তানজীর আহমেদকে গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত জানতে পারেন।
গত ৬ জানুয়ারি জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের একটি বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের হাউজ থেকে একই গ্রামের শাওন আহমেদের (৩৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শাওন ওই গ্রামর সাবু মিয়ার ছেলে। স্থানীয় কোমরপুর বাজারে একটি মুদি দোকান চালাতেন তিনি।
ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ শাওনের বড় ভাই তানজীরকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, শাওনের স্ত্রীর সঙ্গে তানজীরের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। একপর্যায়ে তানজীর তার ছোট ভাই শাওনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শাওনের স্ত্রী জড়িত ছিলেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
শাওনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “শাওনকে তানজীর বলেছিলেন একটা মেয়ের সঙ্গে তার (তানজীরের) প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে। সেই মেয়ে এখন তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। মেয়েটা স্থানীয় একটি চাতালের পাশে রাতে তার (তানজীরের) সঙ্গে দেখা করতে আসবে।
“শাওনকে তানজীর অনুরোধ করেন শাওন যেন সেখানে গিয়ে মেয়েটাকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠান। বড় ভাইয়ের অনুরোধে ঘটনাস্থলে যান শাওন। এ সময় তানজীর পেছন থেকে দা দিয়ে শাওনকে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে তানজীর একাই লাশ টেনে চাতাল সংলগ্ন বায়োগ্যাস প্লান্টের হাউজে ফেলে দেন। সঙ্গে ইট বেঁধে দেন যাতে লাশ ভেসে না ওঠে।”
পরদিন স্থানীয়রা রক্তের চিহ্ন ধরে লাশ খুঁজে পায়।
পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, তানজীরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করেছে। ঘটনা আরও বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।