শুধু সনদ দেওয়া নয়, পরিপূর্ণ মানুষ গড়তে চাই: উপাচার্য রফিক উল্লাহ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু সনদ নয়, শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেছেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিক উল্লাহ খান।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2020, 04:26 PM
Updated : 4 Jan 2020, 05:11 PM

শনিবার নেত্রকোণা শহরের রাজুর বাজার এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রথম বর্ষের ২০১৯-(২০২০ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য রফিক উল্লাহ খান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান চর্চার আধার। সনদধারী তৈরি করতে এই বিশ্ববিদ্যালয় নয়। এখানে এ রকম জ্ঞান দানের জন্য আমরা শ্রম দিচ্ছি না।

“তাহলে আমরা কী মানুষ তৈরি করব? যে স্বাবলম্বী হবে, যে বাংলা পড়ে, সাহিত্য পড়ে, ইংরেজি পড়ে কম্পিউটার সায়েন্স জানবে, আমরা সেই রকম মানুষ গড়ব। পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কমপ্লিট এডুকেশন আছে আমরা সেই জ্ঞান দিয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর হতে হবে। এখান থেকে জ্ঞান অর্জন করে ভালো মানুষ হিসেবে বের হয়ে যেতে হবে। তবেই দেশের মানুষের টাকায় পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া স্বার্থক হবে।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সিন্ডিকেট সদস্য ড. ফখরুল আলম, জেলা প্রশাসক মঈন উল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, নেত্রকোণা পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন।

নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এখনও নির্মাণাধীন। ৫০০ একর জমির উপর ২ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ ২০২১ সালে শেষ হবে।

সেখানে চার হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে, যার মধ্যে দুই হাজার ছাত্র এবং দুই হাজার ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ২০টি বিভাগ, ২০০ শিক্ষক ও ৩৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলার মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে, এবার দ্বিতীয় ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে তারা।

শনিবারের এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের জমি অধিগ্রহণ বাবদ ১১৯ জনকে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।