একইসঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়, যা নিহতের পরিবারকে বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডিত মো. কাওসার বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার নাজিরপুরের মৃত শহিদ মিয়ার ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে আদালতের বিশেষ পিপি ফয়েজুল হক ফয়েজ বলেন, পারিবারিকভাবে ২০০৯ সালে কাওসারের সঙ্গে উজিরপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মাহমুদা আক্তার পাখির বিয়ে হয়ে।
“বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মাহমুদাকে স্বামী কাওসার নির্যাতন করে আসছিলেন।”
পিপি বলেন, ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে মাহমুদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ সময় মাহমুদা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের বোন ময়না বেগম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাহমুদার স্বামী কাওসারকে আসামি করে একই বছরের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বানারীপাড়া থানার এসআই রুস্তম আলী মৃধা। আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন বিচারক।