সোমবার সকাল থেকে রাজশাহীর সঙ্গে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। ফলে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে সকালে ঢাকাগামী বেশ কয়েকটি বাস রাজশাহী থেকে ছেড়ে যায়।
সকালে রাজশাহীর নগরীর শিরোইল ও নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল এবং ভদ্রা মোড়ে অবস্থান নিয়ে মোটর শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এ সময় দু-একটি বাস ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তা আটকে দিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
এ সময় তারা নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রত্যাহারের দাবি জানান।
রাজশাহী ছাড়াও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলাতেও শ্রমিকরা বাস চালাচ্ছেন না। সেসব জেলার মত রাজশাহীতেও বাস বন্ধের জন্য ইউনিয়ন ‘ডাক দেয়নি।’
এই শ্রমিক নেতা বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি এটাকে সমর্থন করি না। প্রতিবাদ জানানোর আরও ভাষা আছে।
“এভাবে বাস বন্ধ করে যাত্রীদের দুর্ভোগে ফেলা আমি সমর্থন করি না।”
গত বছর ঢাকায় বাসচাপায় দুই ছাত্রছাত্রীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংসদে পাস হয়। তবে তা এ বছর ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়। পরে সময় পিছিয়ে গত রোববার থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে।
বেপরোয়া মোটরযানের কবলে পড়ে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এ আইনে, যা আগের তুলনায় বেশি।
এ কারণে আইনটি প্রণয়নের পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো।
স্থানীয় পরিবহন নেতারা জানান, সকালে রাজশাহীর মালিকদের বাস দু-একটি করে নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে ছেড়ে যায়। তবে বাইরের জেলার মালিকদের বাসগুলো রাজশাহী আসার পর পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
রাজশাহী-নওগাঁ রুটে বাস চলছে না। এছাড়া রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের রুটেও শহর থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।