রূপগঞ্জ থানার এসআই নাজিম উদ্দিন জানান, নিখোঁজের চার দিন পর শনিবার সকালে উপজেলার পূর্বাচল এলাকার ১০ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত মোহাম্মদ মাওলা (১৭) উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের পাইস্কা এলাকার কাঠমিস্ত্রি এখলাছ উদ্দিনের ছেলে। সে অটোরিকশা চালাত।
এসআই নাজিম পরিবারের বরাতে জানান, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে রিজার্ভ ট্রিপের কথা বলে তার এলাকার দুই বন্ধু তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। পরে মাওলা আর বাড়ি ফেরেনি। বৃহস্পতিবার তার বাবা রূপগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
“পুলিশ তদন্তে নেমে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে মাওলাকে ডেকে নেওয়া দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে পূর্বাচল উপ-শহরের ১০ নম্বর সেক্টরের ৩১৬ নম্বর রোডের ৮ নম্বর প্লটের ঝোপের ভেতর থেকে হাত-পা বাঁধা মাওলার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।”
এসআই নাজিম আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে বলেন, মাওলার সঙ্গে এলাকার এক মেয়ের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। আবার মাওলার এক বন্ধুও ওই মেয়েকে পছন্দ করত।
“পথের কাঁটা দূর করতে আটক তিন বন্ধুসহ কয়েকজন মাওলাকে হাত-পা বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে ঝোপের ভেতরে লাশ গুমের জন্য ফেলে রাখে।”
রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহামুদুল হাসান বলেন, “প্রেম সংক্রান্ত্র বিরোধের জের ধরে কিশোর মাওলাকে তার বন্ধুরা হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে তিনি জানান।