আর রৌদ-বৃষ্টিতে কষ্ট হবে না: বীরাঙ্গনাকন্যা আছিয়া

সরকারি উদ্যোগে নির্মিত বসতঘর পেয়েছেন বীরাঙ্গনা আফিয়া খাতুনের পরিবার।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2019, 09:39 AM
Updated : 21 Oct 2019, 09:43 AM

তারাসহ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ২৯৯টি গৃহহীন দরিদ্র পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত এসব বসতঘর।

সোমবার মুজিবুল হক মজিব কনকপৈত ইউনিয়নর সোনাপুর গ্রামের বীরাঙ্গনা আফিয়া খাতুনের পরিবারকে এই ঘর বুঝিয়ে দেন।

এ সময় বীরাঙ্গনা আফিয়া খাতুনের মেয়ে আছিয়া খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, “চারিদিকে ইটের ওয়াল ওপরে টিনের ঘর পেয়ে আমি মহাখুশি।

“এখন আর রৌদবৃষ্টিতে কষ্ট হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “শুধু ঘর নয় মুজিব ভাই নিজে এসে ঘর বুঝিয়ে দিলেন।

“যাওয়ার সময় মিষ্টি আর জিলাপির প্যাকেট দিলেন দুইটি… এতে আমি কি যে খুশি হইছি তা বুঝাইতে পারব না।”

সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্প  ও দুর্যোগ সহনীয় প্রকল্পের আওতায় এসব ঘর নির্মাণ করা হয়।

সাবেক মন্ত্রী গত রোববার থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে এসব ঘর পরিদর্শন করে উপকার ভোগীদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করেন।

এসব ঘর পরিদর্শনকালে সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মজিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের এবারের ইশতেহারে স্লোগান রয়েছে ‘গ্রাম হবে শহর’ সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

“চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বর্তমান সরকারের উন্নয়ন হয়নি।”

এ সময় চৌদ্দগ্রাম পৌর মেয়রসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র মিজানুর বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এলাকায় গৃহহীনদের থাকার জন্য ঘর করে দিয়েছেন।

“আর এ ঘর তৈরি ঠিকমত হয়েছে কিনা, যাদের দেওয়া হয়েছে তারা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেল কি না  তা দেখতে পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য মুজিবুল হক।

প্রত্যন্ত গ্রামে নিজে গিয়ে গৃহহীনদের ঘর বুঝিয়ে দেন এই সংসদ সদস্য বলেও জানান মেয়র।

এই প্রকল্পের পরিচালক জুবায়ের হাসান জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ব্যয়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণ করা হয়। এমন ২৯৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া দুর্যোগ সহনীয় প্রকল্পেও আওতায় পাঁচটি ঘরের জন্য প্রতিটি দুই লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা করে খরচ হয়েছে।