‘বন-পাহাড় কেটে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে পরিবেশের ক্ষতি’

বন ও পাহাড় কেটে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2019, 01:44 PM
Updated : 17 Oct 2019, 03:38 PM

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও পেছনে ফেলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে ২০১১ সালেও দলে দলে রোহিঙ্গার তাদের দেশ ছেড়ে আসে।

তাদের আশ্রয় দেওয়া হয় কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে; সেখানে আগে আসা আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।

এসব রোহিঙ্গাদের আবাসনের জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিস্তীর্ণ পাহাড় ও বনভূমি কাটতে হয়েছে।

সাবের হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপন এবং নানা স্থাপনা তৈরির কারণে পরিবেশের যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তা পুরোপরি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যতটুকু সম্ভব সেই লক্ষ্যে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।

এরপরই পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা কাজ করবেন বলে জানান স্থায়ী কমিটির এ সভাপতি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, বগুড়ার সাংসদ রেজাউল করিম বাবুল, সংরক্ষিত নারী সাংসদ খাদিজা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ৯টায় সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঢাকা থেকে বিমানযোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।

পরে সেখান থেকে তারা উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। ক্যাম্পে পৌঁছার পর সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দলটি বৈঠক করেন। পরে কুতুপাললং এলাকার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।