নরসিংদীতে কিশোরীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৫

নরসিংদীতে কিশোরীকে অপহরণ করে নয় দিন আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2019, 01:12 PM
Updated : 14 Oct 2019, 01:12 PM

জেলার মাধবদী থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানান, রোববার বিকালে ঢাকার সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দেবাই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে সুজন (২৭), সাতগ্রাম গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৬), ময়মনসিংহ সদর উপজেলার রহমতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. ফয়সাল মিয়া (২০), লালমনিরহাট সদর উপজেলার চরকুলাঘাপ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আছাদুল ইসলাম ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের নিশাত মোল্লার ছেলে শাকিল মোল্লা।

তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ওসি তাহের মামলার নথির বরাতে বলেন, গত ৫ অক্টোবর ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে মাধবদীর দরগাবাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত হয়। এর চার দিন পর মোবাইল ফোনে তার বাবার কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। না দিলে কিশোরীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন কিশোরীর বাবা।

ওসি তাহের বলেন, মামলার পর মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং শুরু করে পুলিশ। পরে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য মুক্তিপণের টাকা নিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এসে পুলিশের হাতে আটক হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে সাভারের গোমাইল উত্তর পাড়ার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণে সহায়তাকারী ফয়সাল, শাকিল ও আছাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপহরণকারী দলের মূল হোতা সুজন পালিয়ে যায়। পরে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

“গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও অপহরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।”

ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।