রাজশাহী সিটি পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুল খানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী শহরের শাহমুখদুম থানা এলাকায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে লিজা নিজের গায়ে আগুন দেন।
তাকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়।
১৮ বছর বয়সী লিজার বাবার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়।
রাজশাহী শহরের সকুরা এলাকয় ভাড়া বাসায় থাকত এই দম্পতি।
আগুনে লিজার কোমরের ওপর থেকে মুখমণ্ডল ও শ্বাসনালীসহ প্রায় ৪৫ শতাংশ পুড়ে যায় বলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুর ফেরদৌস জানান।
শাহমখদুম থানার ওসি মাসুদ রানা পরিবারের বরাতে বলেন, স্বামীর সঙ্গে শনিবার সকালে লিজার পারিবারিক কলহ হয়। একপর্যায়ে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যেতে চাইলে লিজা আত্মহত্যার হুমকি দেন। পরে লিজার শ্বশুর-শাশুড়ি সাখাওয়াতকে নিয়ে চলে যান। সাখাওয়াত এ ঘটনায় শাহমুখদুম থানায় জিডি করতে যান। জিডির প্রক্রিয়া চলছিল।
“এক পর্যায়ে লিজাও থানায় গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে চান। পরে থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে যান। সেখানে মামলা না করে বেরিয়ে গিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।”
তিনি কেরোসিন কিনে নিজের গায়ে ঢেলে আগুন দেন বলে জানান সিটির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস।