স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পর গায়ে আগুন দিয়ে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’

রাজশাহী নগরে ‘স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরে’ গায়ে আগুন দিয়ে এক কলেজছাত্রী গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2019, 01:07 PM
Updated : 28 Sept 2019, 01:25 PM

শনিবার দুপুরে নগরীর নগরের শাহমুখদুম থানা এলাকায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

তাকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। 

লিজা রহমান (১৮) নামের ওই কলেজছাত্রীর বাবার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়।

তারা দুজনে রাজশাহী নগরীর সকুরা এলাকয় ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুর ফেরদৌস বলেন, “মেয়েটির শরীরের সামনে কোমরের ওপর থেকে মুখমণ্ডল ও শ্বাসনালীসহ প্রায় ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।”

বিকাল ৫টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয় বলে তিনি জানান।

পরিবারের বরাত দিয়ে শাহমখদুম থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, স্বামীর সঙ্গে শনিবার সকালে মেয়েটির পারিবারিক কলহ হয়। এক পর্যায়ে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যেতে চাইলে মেয়েটি তাকে আত্মহত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে লিজার শ্বশুর ও শাশুড়ি গিয়ে সাখাওয়াতকে নিয়ে চলে যান এবং পরে সাখাওয়াত এ ঘটনায় নগরীর শাহমুখদুম থানায় জিডি করতে যান। জিডির প্রক্রিয়া চলছিল।

“এক পর্যায়ে লিজাও থানায় গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে চান। পরে থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে যান। সেখানে মামলা না করে বেরিয়ে গিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।”

আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সদর ও নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, “মেয়েটি প্রথমে থানায় যান। পরে সেখানে তার স্বামীর সঙ্গে সমঝোতার কথা বলেন। পরে ওসি তাকে ভিকটিম সার্পোট সেন্টারে অভিযোগ করতে বলেন।”

সেখানে গিয়ে তিনি তার নাম ঠিকানা বলার পর মামলা করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বেরিয়ে যান। পরে কেরোসিন কিনে নিজের গায়ে ঢেলে  আগুন দেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।