সোমবার দুপুরে সুনামাগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই রায় দেন বলে জানান এপিপি সৈয়দ জিয়াউর রহমান।
২০১৬ সালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের ভ্যানচালক তরিব উল্লারকে হত্যার মামলার রায়ে ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আব্দুর নূর এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত শাহনূর মিয়া, ইদ্রিস আলী ও হাবিবুর রহমান উপজেলার শিমুলতলা গ্রামেরই বাসিন্দা।
রায়ে বজলুর রহমান ও তানজু মিয়া নামের দুই জনকে আদালত খালাস দিয়েছে বলে জানান এপিপি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের ভ্যানচালক তরিবউল্লাহ ও প্রতিবেশী আব্দুর নূরের মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল।
এর জের ধরে ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল রাতে আব্দুর নূর তার লোকজন নিয়ে তরিব উল্লার ওপরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তরিবউল্লাহ গুরুতর আহত হন।
তাকে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নিয়ে যাবার পথে তরিব উল্লাহ মারা যান।
ঘটনার পর দিন নিহতের ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে তাহিরপুর থানায় আব্দুর নূর, শাহনূর মিয়া, ইদ্রিস আলী, হাবিবুর রহমান, বজলুর রহমান, তানজু মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন যুক্তিতর্ক শেষে সোমবার আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি সৈয়দ জিয়াউর রহমান বলেন, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিল। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।