স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই শিশুশিক্ষার্থীদের ধানক্ষেতে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার সকালে জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক পাহাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতটা খুব ঢালু ও খাড়া। সবার পিঠে ঝুলানো একটি করে থুরুং।
দশম শ্রেণি পড়ুয়া ক্যহলাচিং মারমা বলেন, “ধান না কাটলে বাবা-মায়ের কষ্ট বুঝতাম না। লেখাপড়া করে বাবা-মায়ের কষ্টের মর্যাদা রক্ষা করব।”
“চাষের মাধ্যমেই আমাদের বাবা-মায়েরা কষ্ট করে লেখাপড়া করাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেকোনো জায়গায় গেলেও জুমচাষি বাবা-মায়ের কষ্টের কথা মনে রাখব।”
এই শিক্ষার্থীরা একজন চাষিকে তার ক্ষেতের ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে দেয়।
ধান কাটার সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী গানও গেয়েছে।
তুমপ্রে ও রাওরি নামে দুই শিক্ষার্থী বলেন, ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে অনেক গান আছে। সেগুলো খুব আবেগের। অনেক গান তারা ভুলে গেছে। সংরক্ষণ করা হয়নি।
“লেখাপড়া করে প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ যাতে নিজেদের শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়, এই উদ্দেশ্যে বছরে একবার হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের দিয়ে জুমের ধান কেটে দেওয়া হয়।”
তারা ১০ বছর ধরে এমন উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।