রোহিঙ্গার পাসপোর্ট: নোয়াখালীর ২ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ

নোয়াখালী থেকে তিন রোহিঙ্গার পাসপোর্ট তৈরির ঘটনায় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) প্রত্যাহার করা দুই সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপাশি করেছে তদন্ত কমিটি।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2019, 04:33 PM
Updated : 17 Sept 2019, 05:02 PM

জেলার বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।  

এ দুই পুলিশ সদস্য হলেন সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদা।

নোয়াখালী পাসপোর্ট অফিস থেকে তিন রোহিঙ্গা তরুণের পাসপোর্ট নেওয়ার বিষয়ে ডিএসবির এই দুই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অদক্ষতা, অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ওই পাসপোর্টগুলো করার সময় তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করার দায়িত্বে ছিলেন এ দুই এএসআই।

এ ব্যাপারে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনের আগেই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

“তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়েছে, এতে তাদের বিরুদ্ধে কিছু সুস্পষ্ট অভিযোগ আছে। অভিযোগগুলোর বিষয়ে তাদের কাছে পুনরায় ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। তাদের সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে।”

এসপি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তাদের জবাব পাওয়ার পরই তা বিশ্লেষণপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।

এর আগে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার এএসআই আবুল কালাম আজাদ ও নুরুল হুদাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। গত শনিবার তাদের কাছ থেকে পাওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

ওইদিন এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।

গত ৬ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী তিন রোহিঙ্গা তরুণকে চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা দালাল ধরে নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে থেকে পাসপোর্ট করিয়াছে বলে পুলিকে তথ্য দেয়।