উপজেলার যশপুর গ্রামের রফিক মল্লিকের (৩০) বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থান নেন ২৫ বছরের এই তরুণী।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এক যুগের বেশি সময় আগে তার অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়।
“বিয়ের পর রফিক আমাকে আমার স্বামীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করতে বলে। আমি রাজি না হলে রফিক আমার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে নানা রকম কুৎসা রটায়। এ কারণে স্বামী-শাশুড়ি আমাকে নির্যাতন শুরু করে।”
রফিকের প্ররোচনায় তিনি স্বামীকে তালাক দেন জানিয়ে বলেন, এরপর তিনি অন্য বাসায় থাকলেও দুইজনের বাসায় তাদের যাওয়া-আসা ছিল।
“সে সময় রফিক আমাকে কথা দেয় ১০ বছর পর সে আমাকে বিয়ে করবে। কিন্তু ১২ বছর চলে গেলেও বিয়ে না করে রফিক এখন অস্বীকার করছে। নিরুপায় হয়ে আমি বিষের বোতল হাতে নিয়ে রফিকের বাড়িতে উঠেছি। রফিক বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নেব।”
এ বিষয়ে রফিকুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই তরুণীর সঙ্গে তার সম্পর্ক শুধুই বন্ধুত্বের।
“লেখাপড়া করতে গিয়ে তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। তাকে আমি বিয়ের আশ্বাস দেইনি। হয়ত কারও প্ররোচনায় সে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।”
স্থানীয় বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম ফুল মিয়া বলেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থ্যা নেবেন।