বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান এই অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “শহীদ হবিবুর রহমান হলের ২২৪ নম্বর কক্ষে কর্তৃপক্ষ আমাকে সিট বরাদ্দ দিয়েছে।
“সোমবার রাত ৯টার দিকে ওই সিটে উঠতে গেলে মিনহাজসহ হল ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আমাকে বাধা দেন। তারা আমার জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে সিট দখল করেন। এ সময় মিনহাজ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালও করেন।”
হাসান এ বিষয়টি হলের প্রাধ্যক্ষকে জানালে মিনহাজ তাকে মারতে চেষ্টা করেন বলেও তার অভিযোগ।
এ বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি জানার পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সামধান করেছি। তবে সাকিবের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। যদি কেউ এ রকম করে থাকে তাহলে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেব।”
তিনি সমাধান করেছেন বলে দাবি করলেও মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত হাসান তার সিটে উঠতে পারেননি। ওই ছাত্রলীগ নেতা তার লোকজন নিয়ে সিটটি দখল করে রেখেছেন বলে হাসানের অভিযোগ।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টার পর প্রাধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আজই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। হল প্রাধ্যক্ষ্যের সঙ্গে কথা বলে দেখি কী করা যায়।”
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, “২২৪ নম্বর কক্ষে একটি সিট খালি হওয়ায় আমি আমার এক ছোট ভাইকে নিয়ে ওই কক্ষে যাই। পরে জানতে পারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এক শিক্ষার্থীকে ওই কক্ষে সিট বরাদ্দ দিয়েছে। ওই কক্ষে আমার যাওয়া উচিত হয়নি।”
তবে তিনি গালাগাল করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।