মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পুরান তাহেরপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বলে দুর্গাপুর থানার ওসি খুরশিদা বানু কনা জানান।
তিনি বলেন, তাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের পর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
তবে পুলিশ অপহরণকারী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি খুরশিদা।
সোমবার বিকেলে চার-পাঁচজন যুবক উপজেলার কয়ামাজমপুর গ্রামে বাড়িতে হামলা চালিয়ে এই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় বলে তার বাবা অভিযোগ করেছিলেন।
এছাড়া কিশোরীর মাকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করারও অভিযোগ করেন তিনি। তাদের মধ্যে টুটুল নামে একজন ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন বলেও তার অভিযোগ।
বখাটেদের উত্ত্যক্তের কারণে সম্প্রতি ওই কিশোরীর বিয়ে ঠিক করে পরিবার সদস্যরা। ১০ সেপ্টেম্বর তার বিয়ের দিন ঠিক করা রয়েছে।
কিশোরীর বাবা বলেন, বাড়িতে তার মা ও স্ত্রী ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা চার-পাঁচ যুবক বাড়িতে হামলা চালায়। প্রথমে তারা অস্ত্রের মুখে জম্মি করে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে। পরে তার কিশোরী মেয়েকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে চলে যায়। এ সময় তার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
“হামলাকারীদের একজনের হাতে পিস্তল ও একজনের হাতে চাকু ছিল। হামলার সময় বাইরে আরও দুই-তিন ছিল বলে পরে জানতে পেরেছি।”
ওসি খুরশিদা বলেন, “অপহরণের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে নেমে পড়ে। আশপাশের সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়। আগে মেয়েটিকে উদ্ধারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
এখন অপহরণকারীদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলে তিনি জানান।