গাজীপুরে সুমি হত্যার পেছনে দাম্পত্য কলহ: পুলিশ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সুমা আক্তার ওরফে সুমিকে দাম্পত্য কলহের জেরে তার স্বামী হত্যা করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2019, 12:56 PM
Updated : 14 August 2019, 03:38 PM

সুমির স্বামী মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর শ্রীপুর থানার ওসি মো. লিয়াকত আলী বলেন, “সম্প্রতি নারীঘটিত বিষয়াদি নিয়ে স্বামী মামুনের প্রতি সুমির অবিশ্বাস দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে কলহ হত। এর জেরেই বৃহস্পতিবার রাতে সুমিকে হত্যার পর তার ৪০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান মামুন।”

শ্রীপুর উপজেলার আসপাডা মোড় এলাকার বাসা থেকে সোমবার রাতে পলিথিনে মোড়ানো সুমির (২৩) খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন গভীর রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার কবিরপুর এলাকা থেকে মামুনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সুমি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার দেবকান্দা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে তিনি।

জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এটি ছিল তাদের উভয়েরই দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই উভয়ের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। পারিবারিক কলহ এবং সুমির কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই করার জন্যই মামুন সুমিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে হালিম-রুটি খাওয়ায় মামুন তাকে। অচেতন হয়ে পড়লে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গোসলখানায় নিয়ে চাকু দিয়ে মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে বিভিন্ন অংশ পাঁচটি পলিথিনে মুড়িয়ে ঘরের ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দেয়। মাথাসহ আরও ১০টি টুকরো ব্যাগে ভরে শুক্রবার ভোরে ও সন্ধ্যার পর কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী এলাকায় সেতুর উপর থেকে বানার নদীতে ফেলে দেয়।”

পরিবারের সদস্যরা ফোনে সুমিকে না পেয়ে তার বাসায় গিয়ে রক্ত ও পলিথিনে মোড়ানো লাশের টুকরো দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।