বুধবার সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক ভবনের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী একথা জানান।
তিনি বলেন, পন্যচালানের আমদানিকারক ঢাকার মিটফোর্ড রোডের ৪৭/সি এলাকার মেসার্স বায়েজিদ এন্টারপ্রাইজ, রপ্তানিকারক ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আ বি ট্রেডার্স। বেনাপোল বন্দরে পন্যচালানটি খালাশে সহযোগিতা করেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোলের সাইনী শিপিং সার্ভিসেস।
সংবাদ সম্মেলনে বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র ভারত থেকে আমদানিযোগ্য পণ্যের আড়ালে ভায়াগ্রা নিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই আমদানিকারকে নজরদারিতে রাখা হয়।
“পরে 'সোডিয়াম স্টার্চ গ্লাইকোলেট' ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা পাউডারের পণ্য চালানটি পরীক্ষা করে ভায়াগ্রা পাওয়া যায়।”
বেলাল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেনাপোল কাস্টমস ল্যাব, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বিসিএসআইআর, বুয়েট ও কুয়েটে পণ্যের নমুনা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় আমদানিকৃত পাউডারটি ভায়াগ্রা, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ১২ কোটি টাকা।
কমিশনার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি দেশে এ যাবতকালের আটকের মধ্যে সর্ববৃহৎ মাদকের চালান। মাদক দ্রব্যের চালানটি আটক করায় তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধামকিও দেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাবেন বলেও জানান।
তিনি বলেন, এ অপরাধের জন্য ইতোমধ্যে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সাইনী শিপিং সার্ভিসেস এর লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।