সাভারে নদীতে পড়ে যাওয়া গাড়িটির সন্ধান মেলেনি

ঢাকার সাভারের আমিনবাজারে তুরাগ নদীতে পড়ে যাওয়া সেডান গাড়িটির অবস্থান ১৬ ঘণ্টা পরও শনাক্ত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2019, 08:02 AM
Updated : 22 July 2019, 03:43 PM

ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার রাত থেকে তাদের একটি গাড়ি ও চালকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। জিপিএস ট্র্যাকারে গাড়ির সর্বশেষ অবস্থান ছিল সাভারে। তবে ওই গাড়িটিই দুর্ঘটনায় পড়েছে কি না- সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের জোনাল কমান্ডার আনোয়ারুল হক সোমবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাল রাত ৩টা পর্যন্ত ডুবুরিরা কাজ করেছেন, প্রাইভেট কারটির সন্ধান মেলেনি। আজ সকাল ৭টা থেকে আবার তল্লাশি চলছে। প্রবল স্রোতের কারণে কাজে বেগ পেতে হচ্ছে।”

রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে আমিনবাজার পেরিয়ে সালেহপুর সেতুর কাছে একটি গাড়ি তুরাগের শাখা নদীতে পড়ে গেছে বলে খবর পায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

জসিম উদ্দিন জয় নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের বলেন, সাভার থেকে ঢাকামুখী একটি হলুদ রঙয়ের গাড়ি একটি বাসকে ‘সাইড দিতে গিয়ে’ নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করেন; তখন পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

ওই গাড়িতে চালক ছাড়া অন্য কেউ ছিল কি না অন্ধকারে তা দেখতে পাননি জয়। পুলিশও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

আমিনবাজার পুলিশ ক্যাম্পের এসআই জামাল হোসেন বলেন, ওই গাড়িতে ছিলেন এমন কারও আত্মীয় পরিচয়ে কেউ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। 

তবে একটি গাড়ি নদীতে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট পরিচালিত ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উপ পরিচালক ফজলুল হক সোমবার দুপুরের আগে ঘটনাস্থলে আসেন।

তিনি বলেন, তাদের একটি গাড়ি রোববার রাত থেকে নিখোঁজ। চালক জিয়াউর রহমানের ফোনও বন্ধ পাওয়া্ যাচ্ছে।

“গাড়ির জিপিএস ট্র্যাকার সর্বশেষ অবস্থান দেখিয়েছে সাভারে। নদীতে পড়ে যাওয়া গাড়িটি আমাদের কি না সেটা নিশ্চিত হতেই আমি এসেছি।”

ফায়ার সার্ভিসের জোনাল কমান্ডার আনোয়ারুল হক বলেন, সাভার পুলিশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গাড়িটি কোন দিকে পড়তে পারে সেই ধারণা নিয়ে ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।

“গাড়িটি হয়ত পড়ার সাথে সাথে ডুবে যায়নি। কিছুক্ষণ ভেসে থাকলে সেটা ভাটির দিকে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় ডুবুরিরা তলায় গিয়ে তল্লাশি করতে পারছে না। ফলে অ্যাংকর নামিয়ে গাড়িটি খোঁজা হচ্ছে।”