মির্জাপুরে ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিএম এ রাজ্জাক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2019, 04:52 PM
Updated : 6 July 2019, 04:52 PM

এতে কুর্নী-ফতেপুর সড়কে কালভার্টসহ প্রায় ৪০০ ফুট রাস্তা নদীগর্ভে চলে গেছে। এ কারণে চলাচলে হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  

প্রতিবছর এ নদীতে ভাঙন হলেও স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এ সমস্যা থেকেই যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য।

সরেজমিনে গিয়ে ফতেপুর থেকে কুর্নী রাস্তায় বৈলানপুর কবরস্থান থেকে হিলরা নতুর বাজার পর্যন্ত ভাঙনের ফলে পাশে থাকা আবাদী জমির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, আগে যেখানে গড়ে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার ৫০০ যানবাহন চলত এখন সেখানে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু স্থানীয়দের মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান চলাচল করছে।

মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুর তালুকদার বলেন, সপ্তাহখানেক আগে থেকে ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। এতে চাকলেশ্বর, থলপাড়া, বৈলানপুর-পাতিলাপাড়া এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ভাঙনের কারণে রাস্তা, ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।

“হিলরা বাজারের উত্তর পাশের অধিকাংশ স্থান ভেঙে গেছে। বাজারের পাশ দিয়ে এলজিইডির নির্মিত কালভার্টসহ রাস্তা ভেঙেছে।”

পানি বাড়ার পাশাপাশি নদী থেকে বালু তোলা ভাঙনের অন্যতম কারণ বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান।

সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আলমগীর বলেন, আগে প্রতিদিন যেখানে প্রায় ৩০০ সিএনজি চলত ভাঙনের ফলে এখন সেখানে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মাত্র ৬০-৭০টি সিএনজি চলে। বাকিরা অন্য জায়গা দিয়ে সিএনজি চালাচ্ছেন। এতে তাদের আয়ও কমে গেছে।

ফতেপুর ইউনিয়ন চাকলেশ্বর এলাকার ওসমান আলী মৃধা বলেন, ব্যবসায়ীরা ড্রেজার দিয়ে নদীর একই স্থান থেকে বালু তোলে। ফলে হিলরা বাজারের উত্তর পাশসহ, কালভার্ট ও সড়ক নদীতে ভেঙে গেছে।

থলপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিলীপ রাজবংশী বলেন, ওই এলাকা প্রতিবছরই নদী ভাঙনের শিকার হয়। কিন্তু ভাঙন রোধে কার্যকর কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। জরুরি ভিত্তিতে এর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

স্থানীয় এমপি একব্বর হোসেন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসে ঘটনাস্থল দেখে গেছেন বলে তিনি জানান।

মির্জাপুর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি, ভাঙন রোধে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা আছে। শুধু জিও ব্যাগ সংকটের কারণে আমারা কাজ শুরু করতে পারছি না। জিও ব্যাগ পাওয়া মাত্র ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।”