রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের সামনে এ দাবিতে তারা মানববন্ধন করেছেন।
দুই ছাত্রীর করা যৌন হয়রানির অভিযোগের পর গত বুধবার অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীকে বিভাগের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের প্রতিবাদ ও অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর ক্যাম্পাসে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
অথচ অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা অনিরাপত্তায় ভোগেন আর অভিযুক্ত শিক্ষক অপকর্ম করেও বুক চিতিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ান বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, অভিযোগের পরও সেই শিক্ষককে বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মহল নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।
ওই শিক্ষককে বাঁচানোর জন্য এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তারা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
আইইআরের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খুর্শিদ রাজীবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন একই বর্ষের শিক্ষার্থী শহীদুল ইসলাম, শর্মিলা মণ্ডল, আশিক মো. নুর উদ্দীন, ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী তানিয়া সরকার, হিয়া মুবাশ্বিরা, মাহফুজা ফারজানা, মিজানুর রহমান, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালসাবিলা শশী, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিজভি আহমেদ, মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ কুমার প্রমুখ।
এ সময় বিভিন্ন বিভাগের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর পরদিন ইনস্টিটিউটের এক জরুরি সভায় বিষ্ণু কুমার অধিকারীকে দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এরপর থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য তাদের উপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
বিষয়টি উল্লেখ করে শুক্রবার নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর মতিহার থানায় অভিযোগকারী ওই দুই শিক্ষার্থী দুটি পৃথক সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর: ১১০৮ ও ১১০৯) করেছেন।
মতিহার থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন জিডি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারী শনিবার এ ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীদের লিখিত ব্যাখা দেন।
এতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক, সাজানো, অসত্য, ষড়যন্ত্রমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই চক্রান্তমূলক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে অভিযোগের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।