বুধবার বিকালে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরী।
অব্যাহতি পাওয়া এই শিক্ষক হলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারী।
আবুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মৌখিক অভিযোগ দেন।
“এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকালে ইনস্টিটিউটের এক জরুরি সভায় ওই শিক্ষককে ওই দুই নারী শিক্ষার্থীর দুটি কোর্স থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।”
হাসান আরও বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের ওই দুই বর্ষেই কোর্স থাকায় পরীক্ষার ফলাফলে যেন এর প্রভাব না পড়ে তাই ওই কোর্স দুটি থেকে বিষ্ণু কুমারকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালককে সভাপতি করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করাও হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তদন্ত কমিটির অগ্রগতির বিষয় জানতে চাইলে আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এর আগেও বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের সান্ধ্য কোর্সের একাধিক ছাত্রী হয়রানির অভিযোগ তুলে তাকে কোর্স থেকে অব্যাহতির লিখিত অনুরোধ জানান পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে।
তবে অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে। আমি নৈতিকভাবে সম্পূর্ণ নির্দোষ। ”
তবে তার বিরুদ্ধে কেন এই ধরনের অভিযোগ তার কোনো কারণ তিনি দেখাতে পারেননি।