রোববার বাহাগুন্দ গ্রামে মুখলেছুর রহমানের মুরগির খামারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সেঁজুতি রাণী রাজভর (১০) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার শ্রীপাল গ্রামের মনিরাজভরের মেয়ে এবং নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের দৈলা গ্রামের বছির রাজভরের নাতনী। শ্রীপাল গ্রামে সে নানার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল।
ঘটনার পর থেকে খামারের মালিক পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, মুখলেছুর রহমান তার গ্রামে একটি মুরগির খামার চালান। খামারে প্রায়ই শেয়াল হানা দেয় মুরগি খেতে।
“মুরগি বাঁচাতে তিনি খামারের চারপাশের বেড়ায় তার লাগিয়ে তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে শেয়াল মারার ফাঁদ পেতে রাখেন। সকালে সেঁজুতি খামারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারের স্পর্শে গুরুতর আহত হয়। কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সেঁজুতিকে মৃত ঘোষণা করেন।”
ওসি জানান, ঘটনার পর খামার মালিক পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনাটি পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।