বৃদ্ধার ছেলে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ব্যবসায়ী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কিরণ শিকদার।
নিজে পলাশ উপজেলা শহরে একটি তিনতলা ভবনে থাকলেও ৯৫ বছর বয়সী মাকে রেখেছিলেন পাশের বস্তিতে একটি ভাঙা টিনের ঘরে।
খবরটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর পুলিশ কিরণকে আটক এবং তার মাকে ঘরে নেওয়ার ব্যবস্থা করে। মাকে নিজের কাছে রাখার অঙ্গীকার করলে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
মরিয়ম বেগমের ভাষ্য, স্ত্রীর বাধার কারণে মাকে নিজের তিনতলা পাকা ভবনে না রেখে গত রমজান মাসে পার্শ্ববর্তী নতুন বাজার এলাকায় একটি টিনের ঘর ভাড়া করে রাখেন কিরণ। মাঝেমধ্যে কিছু বাজার দিয়ে দায়িত্ব শেষ করলেও তার (মরিয়ম) দেখাশোনা করতেন পাশের ভাড়াটিয়ারা।
নরসিংদীর এসপি মিরাজ উদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গণমাধ্যমে মাকে টিনের ঘরে রাখার খবর পড়ে সোমবার পলাশ থানার ওসিকে দিয়ে তাকে ধরে নেন তিনি।
“এরপর মাকে সঙ্গে রাখবেন বলে কিরণ মুচলেকা দেন। মঙ্গলবার সকালে বৃদ্ধা মরিয়মকে ঘরে তোলার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন কিরণ শিকাদারের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মাকে নিয়ে অবস্থান করছেন কিরণ ও তার পরিবারের সদস্যরা। বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমকে বেশ খুশি মনে হচ্ছিল।
ছেলের বাসায় এসে কেমন লাগছে জানতে চাইলে মরিয়ম বেগম সাংবাদিকদের বলেন, “নিজের বাসায় এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। একা একা আমার কোথাও থাকতে ভালো লাগে না। জীবনের বাকি দিনগুলো ছেলে, নাতি-নাতনি ও পুত্রবধূকে নিয়েই থাকতে চাই।”
কিরণ শিকদার বলেন, “মাকে কাছে পেয়ে আমারও খুব আনন্দ লাগছে। মার যেখানে ভালো লাগবে সেখানেই থাকবেন। যতদিন বেঁচে থাকি নিজের কাছে রেখে মায়ের সেবাযত্ন করে যাব।”