ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম আকন্দ জানান, এ মুগে মাংসের সমান, ডিমের দ্বিগুণ ও দুধের চেয়ে সাতগুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে।
“এ ডাল ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার প্রতিরোধক এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এন্টিঅক্সিডেন্ট ডায়বেটিস প্রতিরোধ করে। ভিটামিন বি-১, বি-৫, বি-৬ ও সি-এ ওজন কমাতে সহায়ক। এ ডাল হার্টও সুস্থ রাখবে।”
রবিউল বলেন, বিনার অভিযোজন কর্মসূচির আওতায় গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুর জেলার ১৫০ একর জমিতে বিনা মুগ-৮ জাতের মুগ ডালের চাষ হয়।
“প্রতি হেক্টরে এবার ১.৭ মেট্রিক টন ফলন পেয়ে কৃষক এবার লাভবান হয়েছে। আগামীতে লাভজনক এ জাতের মুগের আবাদ আর সম্প্রসারিত করতে কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।“
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বলেন, বিনা উদ্ভাবিত মুগসহ বিভিন্ন জাতের ফসলের আবাদ করে কৃষক ভালো ফলন পাচ্ছে। তাই কৃষকদের মধ্যে বিনার জাত আবাদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কৃষক সঞ্জিত মণ্ডল বলেন, বিনামুগ-৮ জাতে পোকার আক্রমণ কম হয়। তার উৎপাদন খরচও তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।
স্থানীয় জাতের মুগ চাষ করে যেখানে হেক্টরে ৬০০ কেজি ফলন পাওয়া যায়, সেখানে বিনামুগ-৮ চাষে ১৭০০ টন ডাল পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
গোপালগঞ্জ বিনা উপ-কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, “আমাদের উদ্ভাবিত জাত পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে সর্বোচ্চ ফলন দিতে সক্ষম। বিনামুগও বাম্পার ফলন দিয়েছে।”
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ হরলাল মধু বলেন, গোপালগঞ্জ ও আশপাশের জেলায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের আর্থসমাজিক উন্নয়নে বিনা কাজ করে যাচ্ছে।