সোমবার দুপুরে আব্দুর রহিম রাজন (২৭) নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
কটিয়াদি থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াৎ বলেন, দুপুর দেড়টায় বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
তাবলিগ জামাতের দ্বন্দ্বের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে।
গত ১৯ মে রাতে কটিয়াদি সদরের মধ্যপাড়ায় রাজনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় কয়েকজন যুবক।
২১ মে রাজনের মামা মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে কটিয়াদি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় পুলিশ মাহমুদুল হাসান ও সোহেল মিয়া নামে এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে ওই দুজন কিশোরগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, রাজন ছিলেন তাবলিগ জামাতের কিশোরগঞ্জ জেলা মার্কাজের একজন সক্রিয় কর্মী। গত ১৯ মে রাতে কটিয়াদি সদরের কলামহল জামে মসজিদে তারাবির নামাজ শেষে মধ্যপাড়ায় নিজ বাড়ি ফেরেন। পরে মসজিদে অবস্থানরত তাবলিগ জামাতের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে রাত পৌনে ১১টার দিকে আবার বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদের উদ্দেশে রওয়ানা হন।
বাসা থেকে বের হয়ে কিছুদূর এগুতেই পাঁচ যুবক রাজনকে ধরে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ সময় তিনি চিৎকার করে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে পাশের একটি ড্রেনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার চিৎকার শুনে পরিবার ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে পাঠান।
অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা নেওয়ার সময় স্বজনদের কাছে রাজন তার শরীরে আগুন লাগানোর বিস্তারিত বর্ণনা দেন। সেই সূত্র ধরে একদিন পর (২১ মে) রাজনের মামা মামুনুর রশীদ কটিয়াদি থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
ঢাকা মেডিকেলে রাজনের সঙ্গে অবস্থান করা তাবলিগ কর্মী এস এম সোহেল রানা বলেন, রাজন সাদপন্থি তাবলীগ কর্মী ছিলেন। তাই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পকিস্তানের সমর্থক মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়।
আব্দুর রহিম রাজন কটিয়াদি সদরের পূর্বপাড়া মহল্লার মস্তফা মিয়ার ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং এক ছেলের জনক ছিলেন।