সদর থানার ওসি শহিদুল আলম চৌধুরী জানান, সোমবার বিকালে জেলা পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়।
তিনি বলেন, আটক রেজিয়া বেগম উখিয়া পালংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের মেয়ে।
বাকি দুজনের মধ্যে মোহাম্মদ জাকারিয়া নিজেকে রেজিয়ার শ্বশুর হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আর আব্দুল মালেক বলেছেন, তিনি একজন গ্রাম পুলিশ।
“রোহিঙ্গা নারী রেজিয়াকে পাসপোর্ট পাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করার অভিযোগে তাদের দুজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের তিনজনকে আদালতে হাজির করা হবে।”
জেলা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানান, রেজিয়া বেগম বাংলায় ঠিকমত কথা বলতে না পারায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তারা জেলা প্রশাসককে জানালে তিনি পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তারা পাসপোর্ট করাতে চেয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নজরে আসায় তাদের আটক করা হয়।”
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীর দেওয়া জন্মনিবন্ধন ও জাতীয়তা সদন নিয়ে পাসপোর্ট করাতে গিয়েছিলেন রেজিয়া।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম বলেন, তার দপ্তর থেকে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হোসেনের মেয়ে রেজিয়া বেগমের নামে সনদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আটক রেজিয়া বেগমকে তিনি চেনেন না।